বাণিজ্য মেলা শুধু বাণিজ্য প্রসারেই কাজ করে না

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাণিজ্য মেলা শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারেই কাজ করে না। এটা একটা বিনোদনের কেন্দ্রেও পরিণিত হয়েছে।

এ ছাড়া অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০১৮ সুশৃঙ্খলভাবে হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে এবার ১০০টি সিসি ক্যামেরা থাকবে। প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় মনিটরিং করবে। দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য মেলার অভ্যন্তরের রাস্তাগুলোতে বেশি জায়গা রাখা হয়েছে।

রোববার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মেলা প্রঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবারই বছরের শুরুতে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আয়োজন করি। আগামীকাল ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলার উদ্বোধন করবেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সাল হলো নির্বাচনের বছর। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে। আর নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। ইসি যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারে সেটা প্রমাণ করেছে কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন করে।

পূর্বাচলে মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে বাণিজ্য মেলা হবে ২০২০ সাল থেকে এবং এবারের বাণিজ্য মেলার প্রধান প্রবেশদ্বার করা হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে।

তিনি বলেন, এবার মেলায় ভিন্নতা আনার চেষ্টা করা হয়েছে। ভেতরে বেশ ফাঁকা রাখা হয়েছে। মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবন ইকো পার্কের আকৃতি দেওয়া হয়েছে। শিশু কর্নারের কাজও প্রায় শেষ। অর্কিডের বাগানের কাজ চলছে। আশা করছি কাল বিকেলের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।

মেলায় এবার স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৫৮৯টি। বড় প্যাভিলিয়ন ১১২টি, মিনি প্যাভিলিয়ন ৭৭টি ও বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট স্টলের সংখ্যা ৪০০টি।

এ ছাড়া মেলায় থাকছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ফ্ল্যাওয়ার গার্ডেন, ই-শপ, শিশু পার্ক, প্রাইমারি হেলথ সেন্টার, মা ও শিশু কেন্দ্র, রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্রসহ ৩২ ধরনের অবকাঠামো। মেলায় বিদেশি অংশগ্রহণকারী হিসেবে ১৭টি দেশের ৪৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মেলার স্টল বরাদ্দে কোনো অনিয়ম হয়নি। আর খাবারের স্টলগুলোর ব্যপারে এবার আমরা সতর্ক। প্রতিটি খাবারের দাম নির্ধারণ করা থাকবে। এমনকি সালাদের দাম নিলেও সেটার মূল্য দৃশ্যমানভাবে লেখা থাকতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment